মার্কিন প্রতিবেদন ২০১৮'র মূল্যায়ন ২২ এ কেন?

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৪৫, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯

২০২২ সালের বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদনে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। সেখানে ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ আনা হয়। কারণ হিসেবে সেই নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগেই নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

তবে ২০১৮ সালের বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণ মানতে নারাজ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন,  ওই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্র প্রধান এমনকি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

এছাড়া বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, প্রধানমন্ত্রী লি খেচিয়াং, বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নির্বাচনে বিজয় অর্জনের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।

তাছাড়া ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ভুটানের রাজা ও প্রধানমন্ত্রী, শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, জাপানের প্রধানমন্ত্রী, সৌদি আরবের বাদশাহ ও যুবরাজ, ইরানের প্রেসিডেন্ট, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট, কাতারের আমির, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও ফিজির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।  

২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হওয়ার পর  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান এবং অনেক মার্কিন কূটনীতিক বাংলাদেশ সফরেও আসেন।তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রশংসা করলেও সেসময় কেউই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘও ওই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো আপত্তি করেনি; নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি এবং নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট কারও বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করেনি। বরং পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনকে সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

এছাড়া ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছে, প্রার্থী দিয়েছে এবং তারা পরাজিত হয়েও সেসময় সংসদে নিয়মিত উপস্থিত থেকে সংসদীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে।তবে স্বভাবসুলক ভাবে বিরোধীরা যেমন অভিযোগ করে থাকে ২০১৮ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপির আচরণ তেমনই ছিলো। কিন্তু নির্বাচনে কারচুপি বা অনিয়মের অভিযোগ করে নির্বাচন বা তার ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ করা বার্ষিক প্রতিবেদনটি ২০২২ সালের পরিস্থিতির ওপর হলেও বিস্ময়করভাবে তাতে বাংলাদেশের ২০১৮ সালের নির্বাচনের বিষয়টি টেনে আনা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছরই নিয়মিতভাবে এমন রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে।সে হিসেবে  বিষয়টি ২০১৮ /১৯  বা ২০ সালের প্রতিবেদনে প্রাসঙ্গিক হতে পারতো। সে সময়ে বিষয়গুলো প্রকাশ না করে, প্রায় চার বছর পর আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে প্রকাশ করার বিষয়টি স্বভাবতই প্রশ্নের সৃষ্টি করে বিশ্লেষকদের মনে।

তারা বলছেন, ৪ বছর পর এখন হঠাৎ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন তাদের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে তারা যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্রের অংশ। নিজ স্বার্থ হাসিলে এটি  বাংলাদেশকে চাপে রাখার জন্য আমেরিকার একটি কৌশল বলেও মনে করছেন তারা।

Share This Article


জলবায়ু সম্মেলনে ৫৭ বিলিয়ন ডলারের তহবিল ঘোষণা

গাজায় গণহত্যা অব্যাহত, টানেলে পানি ঢুকাবে ইসরায়েল!

প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে আপিল শুরু

১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সমাবেশ হচ্ছে না: ওবায়দুল কাদের

হামাস যোদ্ধা ভেবে ইসরায়েলিকে গুলি, সেই সেনা সদস্য গ্রেফতার

পাঁচ মাসে রপ্তানি আয় ২২২৩ কোটি ডলার

ইসরাইলের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামাসের হামলা!

সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ আমাদের প্রেরণা জোগায় : প্রধানমন্ত্রী

জোটের শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা

দেশ বাঁচাতে হলে নদীগুলো বাঁচাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের পাশে বাসে আগুন

শ্রম ইস্যুতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি