মুশফিকের মতো এমন সেঞ্চুরি কাউকে করতে দেখেননি লিটন

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:২৭, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯

আইরিশদের বিপক্ষে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করায় মুশফিকের ইনিংসটি বেশি ভালো লেগেছে দলে আরেক ব্যাটার লিটন দাসের। মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো সেঞ্চুরির স্বাক্ষী হয়ে থাকবে সিলেট। ম্যাচটি যারা দেখেছেন, তাদের চোখে লেগে থাকবে তার খেলার ধরন। লিটন কুমার দাস যেমন। বাংলাদেশ দলে প্রায় ৮ বছরের পথচলায় শেষ দিকে নেমে এমন বিধ্বংসী সেঞ্চুরি আর চোখে পড়েনি তার।

 

লিটন নিজেও এই ম্যাচে দারুণ খেলেছেন। সামনে সেঞ্চুরির হাতছানি থাকলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন তিনি। মুশফিক যখন উইকেটে যান, সেখান থেকে সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের বাস্তবতায় ভীষণ কঠিন। ৩৩ ওভারের পর ক্রিজে গিয়ে সেঞ্চুরি করতে পারেননি এদেশের কেউ। মুশফিক এবার সেটিই করে দেখালেন। ৩৩ বলে যখন ফিফটিতে পা রাখলেন, ওভার বাকি আছে তখন আর ৭টি। পরের ফিফটিতে পৌঁছে গেলেন তিনি স্রেফ ২৭ বলে। ৬০ বলে ১০০ ছুঁতে গড়লেন তিনি বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।

পরে ম্যাচের বাকিটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে লিটন বললেন, এমন ইনিংস দেখা তার জন্য নতুন কিছু।

তিনি বলেন, সত্যি কথা বলতে আমি যতদিন খেলছি, বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়ই এভাবে শেষের দিকে গিয়ে ১০০ করেনি। যখন দল থেকে কেউ এরকম একটা সেঞ্চুরি করে, দেখলে অনেক ভালো লাগে। সিনিয়ররা কেউ করলে তো আরও ভালো লাগে।

লিটন বলেন, মুশফিক ভাইয়ের শুধু আজকের ইনিংস না, শেষ ম্যাচের ইনিংসটা যদি দেখেন, আমার মনে হয় অসাধারণ ছিল। যদিও রান বেশি নয়, ৪০ বা এরকম ছিল। এটাই কিন্তু বড় ভূমিকা রাখে তিনশর বেশি রান করতে। আজকের ইনিংসটা তো… ম্যাচের চিত্র বদলে দিয়েছে মুশফিক ভাইয়ের ইনিংসটা।

শেষের এই ঝড়ো ব্যাটিংকে দলের জন্য শুভ ইঙ্গিত মনে করছেন লিটন।

তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয়, সবসময়ের জন্যই ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশেষ করে বড় দলগুলোর যখন উইকেট হাতে থাকে, উইকেট যদি ভালো হয়, শেষ ১০ ওভারে নিয়মিতই ১০০ বা ৯০ থেকে ১০০ করে ফেলে। এই জিনিসটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল। শুধুমাত্র ওয়ানডে ফরম্যাটে নয়। সবশেষ কয়েকদিন ধরে এই জিনিসটা নিয়ে কথা হচ্ছিল, আমরা টি-টোয়েন্টিতেও কীভাবে শেষ ১০ ওভারে ১০০ রান করতে পারি। আমার মনে হয় এটা ভালো একটা লক্ষণ।

বিষয়ঃ তারকা

Share This Article