ভালো অবস্থানে পাকিস্তান

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৩০, রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২, ২ শ্রাবণ ১৪২৯

শ্রীলঙ্কাকে ২২২ রানে বেধে ফেলার পর সবাই ভেবেছিল, রানের পাহাড়ে চড়বে পাকিস্তান। কিন্তু সবাই ভাবে এক, হয় আরেক। পাকিস্তানও উল্টো লঙ্কান বোলিং তোপের মুখে পড়লো। অস্ট্রেলিয়াকে শেষ টেস্টে যে ইনিংস ব্যবধানে লঙ্কানরা হারিয়েছে, তারই ধারাবাহিকতা তারা টেনে এনেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টেও।

ব্যাট করতে নেমে দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় পাকিস্তানিরা। ৭৩ রানে নেই ৫ উইকেট, ৮৫ রানে নেই ৭ উইকেট। ১৪৮ রানে পড়ে যায় ৯ উইকেট।

পাকিস্তান কোথায় থামবে? একবার ভাবুন তো? শেষ উইকেট জুটিতে ভাবনারও বাইরে ব্যাটিং করলেন বাবর আজম এবং নাসিম শাহ। দু’জন মিলে খেললেন ৩০.৫ ওভার (১৮৫ বল)। এর মধ্যে ১১ নম্বর ব্যাটার নাসিম শাহ মোকাবেলা করলেন ৫২ বল। এই ৫২ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি।

বাকি বলগুলো মোকাবেলা করলেন বাবর আজম। শুধু তাই নয়, লঙ্কান বোলিংয়ে পাকিস্তানি ব্যাটিং লাইনআপে যে ধ্বংসস্তুপ তৈরি হয়েছিল, সেখানে দাঁড়িয়ে অনবদ্য এক সেঞ্চুরি উপহার দিলেন বাবর। ২৪৪ বল মোকাবেলা করে তিনি যখন আউট হলেন তখন তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ১১৯ রান।

পাকিস্তানের ইনিংসও ততক্ষণে শেষ। ২১৮ রানে অলআউট হলো তারা। যেখানে বড় লিডের স্বপ্ন দেখছিল লঙ্কানরা, সেখানে তারা লিড পেলো মাত্র ৪ রানের। পাকিস্তানের ২১৮ রানের মধ্যে একাই ১১৯ রান করলেন বাবর। বাকিরা সবাই মিলে করলেন ৯৯ রান।

ক্যারিয়ারে এটা বাবরের ৭ম টেস্ট সেঞ্চুরি। তবে একের পর এক ম্যাচে যেভাবে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন পাকিস্তান অধিনায়ক, তাতে এরই মধ্যে কিংবদন্তির কাতারে তার নাম লিখে দিতে শুরু করেছে ক্রিকেট বোদ্ধারা। পাকিস্তানি ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল মোহাম্মদ রিজওয়ানের, ১৯। ১৮ রান করেন ইয়াসির শাহ, ১৭ রান আসে হাসান আলির ব্যাট থেকে।

শুধু বাবরের কৃতিত্ব গাইলেও চলবে না। এই ইনিংসে লঙ্কান স্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়া যে কৃতিত্ব দেখালেন সেটাও লিখতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে দুই ইনিংসে ৬টি করে মোট ১২ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন অবিশ্বাস্য জয়ের নায়ক।

সে ধারাবাহিকতা পাকিস্তানের বিপক্ষেও ধরে রাখলেন তিনি। বাবরদের বিপক্ষে তিনি একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। অর্থ্যাৎ, এখনও পর্যন্ত তিন ইনিংসে বোলিং করে প্রতিটিতেই উইকেট নিলেন ৫ কিংবা তারও বেশি করে। জয়সুরিয়া ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন মহেশ থিকসানা এবং রমেশ মেন্ডিস। ১ উইকেট নেন কাসুন রাজিথা।

Share This Article