ছোট দলগুলির নির্বাচনী প্রস্তুতি চূড়ান্ত: কে কোনদিকে ভিড়ছে

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:১৯, বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩, ১ চৈত্র ১৪২৯

এগিয়ে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। মাঠ গোছাতে ব্যস্ত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। পিছিয়ে নেই  ছোট  দলগুলোও। তবে ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য দল গোছানো, প্রাথী বাছাইসহ বহুবিধ কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকলেও বিএনপির বাইরে সমমনা অন্যান্য দলগুলোও নির্বাচন এগিয়ে আসায় নীরবে প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। তবে তারা দল গোছানো বা প্রার্থী বাছাইয়ের চাইতে নিরাপদ ও লাভজনক জোট বা বলয়ের সন্ধানে ব্যস্ত।

 

কোন দল কোন জোটে:

বিএনপি ও আওয়ামীলীগের বাইরে সারাদেশে প্রাথী দেয়ার সামর্থ্য কোনো দলেরই নেই। এরপর জামায়াত ও জাতীয় পার্টি  কিছুটা সামর্থ রাখলেও এর বাইরে আর কোনো দলেরই  এককভাবে নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই বললেই চলে। তবে জামায়াতের বাইরে অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর সম্মিলিত শক্তি ও সামর্থ হিসেব করে চলতে হয় বড় দুটো দলকেই। নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে দল গোছানো ও জোট গঠন বা বড় কোনো জোটে অন্তর্ভুক্ত হতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারাও। অন্যান্য ছোট দলগুলোও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জোট ভুক্ত হতে বা আলাদা জোট গঠনে।

জাতীয় পার্টি:

বিভিন্ন সভা সমাবেশে আওয়ামী লীগ জোটে নেই বলে বক্তব্য প্রদান করছে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)। তবে তার এই বক্তব্যকে কেবল কৌশল বলছেন বিশ্লেষকরা। এটি আওয়ামী লীগের কাছ থেকে চাহিদামতো  আসন ভাগিয়ে নেয়ার কৌশল। শেষ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থনেই নির্বাচনে অংশ নিবেন এবং ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দলটির একাধিক সূত্র।

জামায়াতে ইসলামী:

২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল ছিলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গত ডিসেম্বরে বিএনপি ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জামায়াত একটি কর্মসূচি পালন করলেও পরবর্তীতে আর মাঠে নামেনি। নানানিধ কারণে জামায়াত ক্ষুব্ধ হয়ে যুগপৎ আন্দোলন থেকেও নিজেদের সরিয়ে নেয়। এমনকি আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১২০ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীও ঠিক করে ফেলে। এদিকে জামায়াতের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব বেড়েছে। কাজেই তাদের সাথে আর কোনো জোট হবার সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী নির্বাচনে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে দলীয় ভাবে বা অন্য কোনো ব্যানারে এমনকি প্রয়োজনে বড় দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সাথেও সমঝোতার মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করতে পারে জামায়াত।

ইসলামী ঐক্যজোট:

বিএনপি জোটের অন্যতম শরিক দল ছিল ইসলামী ঐক্যজোট। সম্প্রতি তারাও বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপি জোট থেকে বের হয়ে যায়। এই দলের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, আমরা একা নির্বাচনে যাব না। এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার মতো অবস্থান এখনো তৈরি হয়নি। তবে আওয়ামী লীগের জোট থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিলে আমরা অবশ্যই এই সুযোগ কাজে লাগাবো।কেননা আদর্শিকভাবে দুটো দলের মাঝে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই।

খেলাফত মজলিস:

মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস দীর্ঘ সময় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক ছিল। কিন্তু নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে গত বছরের ১ অক্টোবর জোট ছাড়ে দলটি। মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, আমরা এখন স্বাধীন দল। বিএনপির সাথে আর কোনো আন্দোলনে আমরা অংশ নেব না। সরকার যদি কোনো আসন আমাদের ছেড়ে দিতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগের সাথে আগামী নির্বাচনে যেতেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

গণ অধিকার পরিষদ:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণ অধিকার পরিষদ সারাদেশে প্রার্থী দিতে পারবে না। কারণ সারাদেশে এমপি প্রার্থী দেয়ার মতো  সেই সামর্থ বা জনসমর্থননএখনো তৈরি হয়নি। এরইমধ্যে বিএনপি থেকে ৫০ সংসদীয় আসন চেয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। কিন্তু বিএনপি এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে একলা চলো নীতিতেই দলটি হাটবে বলে জানা গেছে।

অন্যান্য দল:

ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, সাম্যবাদী দল, তরিকত ফেডারেশন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং আওয়ামী লীগ জোটের অন্য নেতারাও আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সাথে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছেছেন।

অন্যদিকে ইসলামি ঐক্যজোটের একাংশ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, ডেমোক্রেটিক লীগ,এলডিপি, নাগরিক ঐক্য ,জাসদ(রব) বাংলাদেশ পিপলস লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ছাড়াও একাধিক দল আন্দোলনে অংশ নিলেও নির্বাচনে অংশ নিতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং তারাও ইতোমধ্যে বিএনপিকে বাইরে রেখে আলাদা জোট নিয়ে নির্বাচনে যেতে প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছেন। তবে এর মধ্যে কোনোকোনো দল আওয়ামীলীগের সাথে বা নির্বাচনী জোট গঠিত হলে তাতে যোগ দিতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।

বিএনপির সমমনা ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলছেন, বিএনপি আমাদের মূল্যায়ন করেনি। তারা আমাদের শুধু দলের সংখ্যা বাড়াতে জোটে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। চলমান আন্দোলনে কোনো আলোচনা বা পরামর্শ না করে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে তা চাপিয়ে দেয়ায় তাদের সাথে দূরত্ব তৈরি হয়।

সূত্রমতে, বিএনপির ২০ দলীয় জোট ভেঙ্গে দেওয়ার পরে সমমনা ছোট রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক মাঠে এক ধরণের নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। এমতবস্থায় তারা এককভাবেও কোনো কর্মকান্ড চালাতে পারছে না, কারণ তাদের পর্যাপ্ত লোকবল, জনসমর্থন ও আর্থিক সামর্থ নেই। ফলে নির্বাচনে তারা বিএনপির বাইরে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো জোটে যাওয়ার সুযোগ নেই।

Share This Article

কোনো প্রার্থীর প্রচারে থাকলে এমপিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর

‘প্রার্থিতা নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা দলীয় নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা’

মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করে সম্পর্ক বাড়ানোর ঘোষণা ইরান-পাকিস্তানের

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে পাকিস্তানকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

পাটশিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে : নানক

বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা

উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী তিমুর ইভানভ

রাশিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীকে গ্রেপ্তার

ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

উত্তপ্ত মধুখালী, পুলিশের ওপর হামলা, সংঘর্ষে প্রাণ নাশ!


যে তিন কারণে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বিএনপির তৃণমূল

উপজেলা নির্বাচন: ফের গণবহিস্কার বিএনপিতে!

উপজেলা নির্বাচন: বিএনপিকে ধোঁকা দিল জামায়াত!

উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

ফের কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: ব্রিটিশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের তৎপরতা শুরু!

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কি কমেছে?

দেশের মানুষের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে ইউনুসের দুশ্চিন্তা: সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস!

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল

আন্দোলন নিয়ে শরিকদের কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছে না বিএনপি!

কখনোই যাকাত-ফেতরা দেননা ড. ইউনুস!

বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ছিলো না বলেই সরকার পতন হয়নি: শিবির সভাপতি