বিএনপিতে অনীহা ইসলামী দলগুলোর!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:১৪, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩, ২৪ ফাল্গুন ১৪২৯

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষনা করলেও বর্তমানে বিএনপি ছাড়া সমমনা দলগুলোকে আর মাঠে পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে তাদের পাশে পেতে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছে বিএনপি। তবে বিএনপির সাথে আন্দোলনে মাঠে নামতে আগ্রহী নয় বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো।

 

কয়েকটি ইসলামী দলের নেতারা বলছেন, বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলন ঘোষিত হলেও  তার পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা বা সমন্বয় সাধনের জন্য কোনো কমিটি গঠিত হয়নি। ফলে যে যার সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করেছে। কিন্তু ছোট দলগুলির অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সে কারণে বেশিদূর অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়নি। তাই বিএনপি এখন নতুন করে আবার সকলকে জোটবদ্ধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা আর তাদের সাথে জোটে না গিয়ে ইসলামী দলগুলো নিজেদের মধ্যে একটা সমঝোতায় আসা যায় কি না তা নিয়েও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

সূত্রমতে, বিএনপির সাথে অতীতে যেসব ইসলামী দল ছিলো তাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। চলমান আন্দোলনে কোনো আলোচনা বা পরামর্শ না করে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে তা চাপিয়ে দেয়া বা মেসেজে জানিয়ে দেয়ার মত অভিযোগ উঠেছে । এছাড়া ইসলামি দলগুলোকে শুধুমাত্র ভোটের সময় ব্যবহার করা হয় বলেও জানান অনেক নেতা।

জানা যায়, গত বছর জামায়াতে ইসলামী বিএনপি জোট ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পরে অন্যান্য ইসলামী দলগুলোও একই পথে হাঁটতে শুরু করে প্রায় একই ধরণের অভিযোগে। জামায়াত বিএনপি জোট থেকে বের হবার পরে দলটি যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিজেদের কর্মসূচি আলাদাভাবে পালন করতে শুরু করলেও কিছুদিন পরেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চাপিয়ে দেয়ার মতো অভিযোগ পাওয়া যায়।

বিএনপি জোটের অন্যতম শরিক দল ছিল ইসলামী ঐক্যজোট। সম্প্রতি তারাও বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপি জোট থেকে বের হয়ে যায়। এই দলের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, বিএনপির সঙ্গে সরকার পতনের আন্দোলনে যোগ দেয়ার বিষয়ে এখন আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি না। আমরা আমাদের মতো করে চিন্তা করছি।

এছাড়া ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মহাসচিব এম এ মতিন বলেন, আমরা অনেক কারণে ২০ দলীয় জোট ছেড়েছি। বিএনপি শুধু তাদের প্রয়োজনে শরিক ইসলামী দলগুলোকে ব্যবহার করেছে। প্রয়োজন মিটে গেলে ইসলামী দলের আর দরকার নেই। এই অবস্থায় বিএনপির সাথে আন্দোলন তো অনেক দূরের কথা আলোচনায়ও রাজি নয় ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের এক নেতা বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলনে আমাদের ডাকা হয়নি। আমরা মনে করি তারা ইসলামী দলগুলোকে পাত্তা দিচ্ছে না। নিজেরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। শরিকদের সাথে আলোচনার কোনো প্রয়োজন তারা মনে করছে না। তবে মাঝেমাঝে মেসেজ পাই তাদের প্রোগ্রামের শিডিউল সংক্রান্ত। এভাবে যুগপৎ আন্দোলন হয়না।

মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস দীর্ঘ সময় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক ছিল। কিন্তু নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে গত বছরের ১ অক্টোবর জোট ছাড়ে দলটি। মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, আমরা এখন স্বাধীন দল। স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে চাই। বিএনপির সাথে আর কোনো আন্দোলনে আমরা অংশ নেব না।

সমালোচকরা বলছেন, ইসলামী দলগুলোর ভোট ব্যাংকের প্রতি নজর থাকলেও দলগুলোকে মূল্যয়ন করছে না বিএনপি। এটি দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে ইসলামী দলগুলো। বিএনপির হাতের পুতুল হয়ে রাজনীতির মাঠে কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি ইসলামী দলগুলো অথচ তাদের এদেশে আলাদা একটি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। শুধু বিএনপির সাথে জোট করার কারণে তারা রাজনীতির মাঠের ফায়দা থেকে বঞ্চিত ছিলো দীর্ঘদিন। দেরিতে হলেও এখন তাদের বোধোদয় হয়েছে, যা তাদের সাতন্ত্রবোধ তৈরিতে সহায়ক হবে।

Share This Article


তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুন:প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে 'ভয়েস অব আমেরিকা'কে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

গুমের বিষয়ে জাতিসংঘ নিজে তদন্ত করেনা কেন : ভয়েস অব আমেরিকাকে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর পরিবার নিয়ে গুজবের জবাব দিলেন আল-জাজিরা'র সাংবাদিক!

সহিংস আন্দোলনের প্রস্তুতি বিএনপির: জামায়াতের সাথে গোপন বৈঠক

যেকোনো সময় খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি!

যুক্তরাষ্ট্রেই আছেন জয়, নিজ বাসায় উদযাপন করলেন মায়ের জন্মদিন

পাকিস্তানি ‘হ্যাকার্সদের’ ভাড়া করল বিএনপি, শাসকদলের পেইজ দখলের চেষ্টা!

নিজ দেশেই বিতর্কিত বাইডেন প্রশাসন: বিরোধীদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার অভিযোগ

বিএনপি সরকার হটাতে পারবেনা, শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে: কাদের সিদ্দিকী

ভিসা নিষেধাজ্ঞা অকার্যকরে পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে সরকারের!

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন চোখ এড়িয়ে যায় কেন

ভিসানীতি ঐক্যবদ্ধ করছে আওয়ামীলীগ ও প্রশাসনকে!