গরমে বাড়ছে আনারসের চাহিদা, দামে খুশি চাষিরা

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৩৭, শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২, ৩১ আষাঢ় ১৪২৯

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের চাষি ইসমাইল হোসেন। ৩০ শতাংশ জমিতে আনারসের চাষ করেছেন তিনি। এতে তার ৪০-৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে আনারস বিক্রি শুরু করেছেন।

 প্রচণ্ড গরমে আনারসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভালো দাম পাচ্ছেন। তার দাবি, ৩০ শতাংশ জমির আনারস ১ লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হবে। একই জমিতে হলুদ, আদা ও কচুর চাষ করেছিলেন। সেখান থেকেও ভালো মুনাফা পেয়েছেন।

ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে আনারসের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। এখন প্রতিটি আনারস ৪৫-৫০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। ভালো দাম পেয়ে আমি খুব খুশি।’

শুধু ইসমাইল হোসেন নন, চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় অঞ্চলে আনারসের ভালো ফলন ও বেশি দাম পাওয়ায় খুশি অন্য চাষিরাও। মধুপুরের আনারস দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে।

মধুপুর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, এবার এ উপজেলায় আনারসের চাষ হয়েছে ১৬ হাজার ৫৫ একর জমিতে, যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ৭২৯ একর বেশি। মধুপুর ছাড়াও টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ও মুক্তাগাছা এবং জামালপুর সদর উপজেলায় আরও ৭ হাজার একর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। আনারসের জমিতে আদা, হলুদ, কলা, কচু ও পেঁপে, যেকোনো তিনটি ফসল চাষ করা যায়।

এসব আনারস মধুপুরের গারো বাজার ও জলছত্র পাইকারি হাটে বিক্রি করা হয়। জুন মাসের শেষদিকে আনারস উঠতে শুরু করে। চলে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

জলছত্র হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার বাগান থেকে চাষি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বাইসাইকেল ও ভ্যানে করে আনারস নিয়ে আসছেন পাইকারি হাটে। ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে ট্রাকে করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছেন।

আনারসচাষি ওমর ফারুক বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে ৩ হাজার আনারসের চারা লাগিয়েছিলাম। প্রতিটির পিছনে ১৫ টাকা করে খরচ হলেও প্রতিটি ৪৬ থেকে ৫০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করছি। কৃষি অফিস থেকে আমাদের তেমন সহযোগিতা করে না। আমরা জঙ্গলে থাকি তো, তাই কেউ খোঁজ রাখে না।’

আরেক চাষি খোকন মিয়া বলেন, ‘আগে অতিবৃষ্টি, ভাইরাস ও মাটি দূষিত হওয়ার কারণে আনারস নষ্ট হলেও এবার তেমনটি হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।’

ময়মনসিংহের শিমতলী এলাকার পাইকারি ক্রেতা আতিকুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম। এতে আনারসের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। তাই দামও অনেক বেশি। এক মাস আগেও যে আনারস ২৫-৩০ টাকা দিয়ে কিনতাম, বর্তমানে সেই আনারস ৪৫-৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। চাহিদা বাড়লে দাম বাড়ে, চাহিদা কমলে দাম কমে।’

মধুপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম ও ঈদকে কেন্দ্র করে আনারসের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।’

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


সরকার বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন: সহিংসতার জেরে ২০০ পোশাক কারখানা বন্ধ!

১৩ দিনে এলো ৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

রফতানি আয়ে সুবাতাস: সেপ্টেম্বরে এলো ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার

২০৩৪ সাল পর্যন্ত কানাডায় রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ

আগামীকাল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রশংসা করছে এডিবি

জুলাই থেকে শুরু ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য

কমেছে পেঁয়াজের দাম

বাংলাদেশকে কেন ঋণ দেয়া হয়েছে, জানালেন আইএমএফ' প্রধান

১২৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন : উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের সাথে থাকবে বিশ্বব্যাংক!

ঈদে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ হাজার ৬০০ কো‌টি

‘এমভি সোল’ জাহাজে নতুন ইতিহাস গড়ল পায়রা বন্দর