ত্রিশালের ৫ যুদ্ধাপরাধীর যাবজ্জীবন

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৫৮, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭ ফাল্গুন ১৪২৯

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। অপর দুই সদস্য বিচারপতি হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

দণ্ডিতরা হলেন- মো. হরমুজ আলী, মো. আব্দুস সাত্তার, খন্দকার গোলাম রব্বানী, খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ ও মো. ফখরুজ্জামান। এর মধ্যে ছাব্বির ও ফখরুজ্জামান পলাতক। বাকি তিন আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন, রেজিয়া সুলতানা চমন ও ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম।

প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন বলেন, মু্ক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গুম ও অপহরণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের জড়ি থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের আগে কারাগারে কাটানোর সময় সাজা থেকে বাদ যাবে বলে রায়ে বলা হয়। এ মামলার আসামি ছিলেন আটজন। তাদের ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর মধ্যে কারাগারে মারা গেছেন তিনজন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ এমএ আব্দুল হান্নান, তার ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ ও মিজানুর রহমান মিন্টু।

এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষামান রাখা হয়।

আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন ও ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম।

২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর মামলায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ও তার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে মামলার আইওসহ ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

২০১৬ সালের ১১ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও মরদেহ গুম- এই সাত ধরনের অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়।

২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলে ওইদিনই হান্নানকে গুলশানের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন তার ছেলে রফিক সাজ্জাদকে ওই এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ১৯ মে এ মামলা করেন ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পরে এজাহারটি গ্রহণ করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

একই অভিযোগে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আনিছুর রহমান এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ হান্নানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে লুণ্ঠন, ধর্ষণ, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আরেকটি মামলা করা হয়। ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ ৩ নম্বর আমলি আদালতে এ মামলা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম। পরে মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশ দেন ৩ নম্বর আমলি আদালতে বিচারক মিটফুল ইসলাম।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

বিচার শুরু রাসেল-শামীমার, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

দুর্নীতি মামলায় কারাগারে মেজর মান্নান

ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর

আড়াই বছরের মেয়েকে হত্যা: প্রেমিকসহ মায়ের যাবজ্জীবন

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ছে, বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই : আইনমন্ত্রী

হলমার্কের তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন

আজ হলমার্কের দুর্নীতির মামলার রায়

তানভীর-জেসমিনসহ হলমার্কের ১৮ জনের রায় আজ

সগিরা মোর্শেদ হত্যা: দুইজনের যাবজ্জীবন, খালাস ৩

যে আইনের ধারাগুলোর স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন ড. ইউনুস

রোজায় খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : আপিল বিভাগ